ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় অস্ত্র উদ্ধার মামলায় দু’জন জেলে, চারজনকে ছেড়ে দিল পুলিশ

mamla.পেকুয়া প্রতিনিধি ::::
পেকুয়ায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে প্রায় ৪৮ঘন্টার পর আটককৃত দু’জনকে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। আটককৃত অপর চারজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় গত সোমবার (১০অক্টোবর) রাতে পেকুয়া থানার এসআই সুমন চন্দ্র নাথ বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করেন। যার নং-৫/১৬। মামলায় উপজেলার রাজাখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ড়ের সদস্য ও ওয়ার্ড় আ’লীগ সাধারন সম্পাদক নেজাম উদ্দিন নেজু, মিয়া পাড়া এলাকার মনোয়ার আলীর ছেলে ফজল করিমকে আসামি করে। আসামিদের গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরন করা হয়। জানা গেছে গত ৮অক্টোবর শনিবার রাতে পেকুয়ার এসআই সুমন চন্দ্র নাথ রাজাখালী ইউনিয়নের আবরশাহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু, ফজল করিম, হানিফের ছেলে মনির, হোসেন আহমদের ছেলে আলী হায়দার, গোলাম রহমানের ছেলে আনিস ও চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিন পুঁইছড়ি এলাকার আলমগীরের ছেলে দিদারুল ইসলামসহ ৬ব্যবসায়ীকে ইউপি সদস্যের কার্যালয় থেকে আটক করে। পুলিশ একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে। ঘটনার দিন থেকে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পুলিশ আটককৃতদের থানায় আটকিয়ে রাখে। অস্ত্র উদ্ধার ও আটকের বিষয়ে পুলিশ কোন ধরনের মুখ খোলতে রাজি হননি। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া আটকের বিষয়টি নাকচ করে বলেছেন তাদেরকে আটক করা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। আটকের এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আরবশাহ বাজার ও উত্তর রাজাখালীর শতশত লোকজন থানায় তিন দিন ধরে ভিড় জমায়। অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে পুলিশের মধ্যে এক প্রকার সিদ্ধান্তহীনতা ষ্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়। পুলিশের উর্ধ্বতন মহল দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বৈঠকে বসে কয়েক দফা। এদিকে অস্ত্র উদ্ধার ও আটককৃতদের মুক্ত করতে থানায় ওসির কক্ষে ও বাসায় চলছিল তদবির ও দেনদরবার। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেয়েছে চারজন। পুলিশ এ চারজনকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা থেকে দিয়েছে নিষ্কৃতি। কিন্তু ইউপি সদস্য নেজু ও ফজল করিমকে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে পুলিশ এড়িয়েছে নিজেদের দায়।

পাঠকের মতামত: